ইকবাল খান: [২] আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, তাই নির্বাচন বিরোধী কোন প্রকার সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। অপরাধ প্রমাণিত হলে সে যেই হোক পড়তে হবে শাস্তির আওতায়। আওয়ামী লীগ প্রার্থী সহিংসতায় জড়ালে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিলে সেক্ষেত্রে সমর্থন করবে দল। 

[৩] রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

[৪] চ্যানেল২৪ জানায়, ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সর্বত্রই এখন মানুষের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এখন অন্য কোনো আলোচনা নেই। আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ চাই। নির্বাচনকে নিয়ে কোনো সহিংসতা চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভায়োলেন্স ফ্রি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান।

[৫] কাদের বলেন, যারা আমাদের দলের প্রার্থী আছেন এবং যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তারাও কিন্তু আমাদের দলেরই নেতাকর্মী। সুতরাং এর মধ্যে কোনপ্রকার পক্ষপাত বা কোনো বৈরি পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক প্রতিক্রিয়া আমরা চাই না, যা সমর্থনযোগ্য নয়।

[৬] বাসস জানায়, তারেক রহমানের কথায় সাড়া দিলে বিএনপির আম-ছালা সব যাবে জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের কথায় সাড়া দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের আম-ছালা সব যাবে।  তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে উদ্ভট আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন, সাহস থাকলে দেশে আসেন না কেন? বাংলাদেশে খোমেনি স্টাইলের বিপ্লব হবে না। হয় রাজপথে, না হয় জেলে যেতে হবে, বিদেশে বসে আন্দোলন হবে না।

[৭] বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দলেন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা খাজনা-ট্যাক্স-ইউটিলিটি দেবে না, এটা তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি? দেশ কি আরেকবার স্বাধীন হচ্ছে? এটা কি বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ? তিনি বলেন, ট্যাক্স না দিলে জেলে যেতে হবে, ইউটিলিটি বিল না দিলে শাস্তি হবে। বিদ্যুৎ-পানির বিল না দিলে লাইন কেটে দেয়া হবে, সোজা কথা।

[৮] ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু এদেশে আর ওয়ান ইলেভেন হবে না। পিটার হাস ভারতে গেছেন। কিন্তু ভারতের অবস্থান এক জায়গায়। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।

 [৯] সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সহিসংতার বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্ত করছে। যারা দোষী হবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

[১০] ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করছে, দেশের জনগণই তাদের বর্জন করতে শুরু করেছে।